ঢাকা , বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ , ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফের আইটেম গানে নাচবেন তামান্না সম্মানসূচক পাম ডি’অর পাচ্ছেন রবার্ট ডি নিরো মালাইকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সিআইডিতে আসছে নতুন এসিপি বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানি গায়িকা আইমা বেগ হলে বাড়লো জংলির শো ছেলেকে নিয়ে ছুটি কাটাতে সিঙ্গাপুরে অপু নতুন ছবি নিয়ে পর্দায় আসছেন মোশাররফ করিম সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশ মাউশির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে ঢ়ুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা মোদির মতো নেতাকে ছুড়ে ফেলার বিকল্প নেই -সারজিস আট মাসের শিশুকে অপহরণের পর বিক্রি, ৮ দিন পর যশোর থেকে উদ্ধার ঈদযাত্রার ১১ দিনে সড়কে ঝরল ২৪৯ প্রাণ নওগাঁ বাড়ির ভেতরে মিললো ভাইবোনের মরদেহ পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ নয় জাটকা সংরক্ষণের আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যা মামলায় আরসা প্রধানসহ ১০ জন কারাগারে মার্চে ৪৪২ নারী নির্যাতনের শিকার, ধর্ষণ ১৬৩ -মহিলা পরিষদ ১০ এপ্রিলের মধ্যে যোগদানের নির্দেশ প্রধান শিক্ষকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে স্টার্টআপ খাতে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল সবার অংশগ্রহণে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের প্রচেষ্টা -আলী রীয়াজ

আমতলীতে আপেল কুলের চমৎকার ফলন

  • আপলোড সময় : ২৮-০২-২০২৫ ০৯:৫৩:০৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০২-২০২৫ ০৯:৫৩:০৫ অপরাহ্ন
আমতলীতে আপেল কুলের চমৎকার ফলন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাইনবুনিয়া গ্রামে বিষমুক্ত কুল চাষ (বরই) করে স্বাবলম্বী হয়েছেন  বেকার যুবক মো. রাসেল মৃধা  প্রতিবছরের মতো এবছরও সাড়ে  ৫ একর জমিতে কাশ্মিরী আপেল কুল, বাওকুল, বলসুন্দরী ও ভরতসুন্দরী নামে ৪ জাতের কুল চাষ করে চলতি বছর প্রায় ২০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন। একসময়ের বেকার যুবকের এমন সাফল্যে সারা ফেলেছে এলাকায়। তার এ সাফল্য দেখে অন্য বেকার যুবকরাও ঝুকছেন কুল(বরই)চাষে এখন তার বাগানে কর্মচারীও রয়েছে ৪/৫ জন।
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালি এলাকার বেকার যুবক আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল। ঢাকার সরকারী বাংলা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাসসহ এমএ এবং বেসরকারী প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি করা রাসেল  বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে কৃষি ক্ষেত্রে কিছু করা যায় কিনা ভাবতে থাকেন রাসেল। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে আলাপ করেন এবং তার পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেমে পড়েন কৃষি কাজে। কিন্তু নিজেদের পর্যাপ্ত জমি না থাকায় সাড়ে  ৫ একর জমি বার্ষিক চুক্তিতে ইজারা নেন তিনি। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবং ইউটিউব দেখে  নেমে পড়েন কুল(বরই) চাষে। ২০২১ সালের শুরুতে কুষ্টিয়ার মেহেরপুর এলাকার একটি বাগান থেকে সংগ্রহ করেন কাশ্মিরী আপেল কুল, বল সুন্দরী ও ভরত সুন্দরী প্রজাতির কুল গাছ। গাছগুলো রোপনের পর নিজেই পরিচর্যা শুরু করেন। এখন  গাছে গাছে শুধু দুলছে লাল আভা ছড়ানো থোকায় থোকায় কুল। সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে। বিক্রিও শুরু করেন তিনি। আকার, স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে রাসেলের বাগানের কুলের চাহিদাও খুব বেশী। প্রথমে ১৬০ টাকা কেজি করে বাজারে বিক্রি শুরু করেন তিনি।
রাসেল মৃধা এবছর ১৪০ টাকা দরে বাজারে কুল বিক্রি করছেন। এর মধ্যে কিছু কুলগাছ বারোমাসি ফলন দেয় আবার কিছু মৌসুম ভিত্তিক। ফলে সারা বছই তার বাগানে কুল পাওয়া যায়। মৌসুম ভিত্তিক গাছগুলোতে দুমাস আগে থেকে পাকতে শুরু করে কুল। এবছর কম করে হলেও ১৫ টন কুল বরই উৎপাদন হয়েছে তার বাগানে। এতে তিনি আয় করবেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাসেল মৃধার বাগান জুরে কুল গাছে ভরা। বাগানের কোথাও একটু পা ফেলার জায়গা নেই। সাড়ি সাড়ি গাছে লাল আভা ছড়ানো থোকায় থোকায় দুলছে লাল কাশ্মীরী কুল। অনেক গাছ কুলের ভাড়ে মাটি ছুয়ে লেপ্টে আছে। লাল সাদা আর মেরুন রঙ্গের বাহারি ফলে ভরে গেছে বাগান। কর্মচারীরা ব্যাগ ভর্তি করে বিক্রির জন্য গাছ থেকে ছিরছেন পাকা কুল। বাগানের ভিতরের ঘরে কুল কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন একদল পাইকারি ক্রেতা। পাখির ছোবল থেকে কুল রক্ষার জন্য পুরো বাগানের আকাশ জুরে টানিয়ে দেয়া হয়েছে জাল। এ যেন এক মনোরম দৃশ্য। এসময় কথা হয় বাগান মালিক রাসেলের সঙ্গে। আপেল কুল চাষি রাসেল জানান, ইউটিউব এবং আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার  পরামর্শে সাড়ে  ৫ একর জমি ইজারা নিয়ে কুল চাষ শুরু করি। প্রথমে প্রতিকূলতা থাকলেও এখন গ্রামের সবাই আমাকে সহযোগিতা করে। রাসেলের বাগানে বর্তমানে আপেল কুল, কাম্মিরী কুল, বলসুন্দরী কুল ও বাউকুল রয়েছে। ফলন দেখে খুব খুশি রাসেল। রাসেল বলেন, প্রথমে মালটা চাষ করতে গিয়ে কিছু লোকসান হলেও এখন কুল চাষ করে আমি তা পুষিয়ে সফল হয়েছি। তিনি আরো বলেন, মৌসুম শুরু থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা আমার বাগান থেকেই বরই কিনে নিয়ে যান। বর্তমানে আমার বাগানের খবর ছড়িয়ে পড়ায় এখন ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং আমতলীর পাইকারী ফল ব্যবসায়ীরা ফল কেনার জন্য ভীর করছেন। প্রতিদিন রাসেলের বাগান থেকে ৩-৪ মন কুল সরবরাহ হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট। এভাবে প্রতিদিনই বাগান থেকে কমবেশি কুল কিনে নেন পাইকাররা।তার বাগানের কুল বিষমুক্ত। গাছে ফুল আসার পর প্রথম একবার নিম পাতা থেকে উৎপাদিত জৈব বালাইণাশক ব্যবহার করেছি। আর কোন ধরনের কীটনাষক ব্যবহার করা হয়নি। এজন্য আমার বাগের কুলের চাহিদা অনেক বেশী। বর্তমানে তার বাগানে ৪/৫জন বেতন ভূক্ত কর্মচারী রয়েছে। তারা প্রতিদিন ৫শ’ টাকা করে বেতন পান। বাগান বড় করে আরো লোকের কর্মসংস্থান করতে চান রাসেল। আমতলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ইছা  জানান, কোন ধরনের রাসায়নিক সার বা কিটণাশকের ব্যবহার না থাকায় এবং তার কুলের আকার ও স্বাদ ভালো হয়েছে আর একারনে বাজারে চাহিদাও বেশি।আমাদেরও ব্যপক সুদৃষ্টি রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য